ডেস্ক নিউজ: বাংলা নতুন বর্ষবরণ করে নিতে বৈশাখের প্রথম দিনে বর্ণিল সাজে সেজেছিলো রাজধানী। উৎসবে মেতেছিলো পুরো দেশ। প্রাণের উৎসবকে ঘিরে সকাল থেকেই উৎসব মুখর হয়ে উঠে রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদন স্পটগুলো। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি বাগড়া হানা দিয়ে বসলো। সঙ্গে শিলাবৃষ্টি আর হালকা ঝড়। এতে বিপাকেই পড়তে হয় এ ব্যস্ত নগরীর উৎসবমূখর মানুষকে।
শনিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ঈষান কোণে মেঘ জমে। শুরুতে বৃষ্টি কম থাকলেও পরে বৃষ্টি বাড়তে থাকে। সেইসঙ্গে ঝড়ো হাওয়ার সাথে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। যারা প্রখর খরতাপের কারণে দিনের প্রথমভাগে বের হননি তারা বিকেলে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন বিপাকে।
আবহাওয়া আধিদফতর অবশ্য পূর্বাভাসেই জানিয়ে দিয়েছিলো আজ ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।
রাজধানীতে শনিবার বিকেলে ঝড়ো হাওয়ার সাথে নামে এই শিলাবৃষ্টি। কয়েক মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে সাদা হয়ে যায় ঢাকার রাজপথ, দালানের ছাদ। পাশাপাশি হঠাৎ বৃষ্টিতে বিভন্ন সড়কে পানি জমে বিঘ্ন ঘটছে যান চলাচলে। তবে উৎসব মাটি হলেও বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন নগরবাসী। শহরে এই বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে গেছে ধুলো, কিছু সময়ের জন্য নগরবাসী উপভোগ করছে নির্মল বাতাস।
পহেলা বৈশাখে ঝড়-বৃষ্টিও যেন বাঙালি সংস্কৃতির অংশ, সেটার জানান দিতেই হয়তো এই বৃষ্টি। সঙ্গে ছিল ঝড়ো হাওয়া।
বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়ি আর পাঞ্জাবিতে পুরো এলাকা যেন রঙিন হয়ে উঠেছিল। নারীর পরনে বাহারি বৈশাখী শাড়ি আর মাথায় ফুলসাজ, পুরুষদেরও বৈশাখী সাজের কমতি নেই। নানা রঙের পাঞ্জাবির সঙ্গে মিলিয়ে পাজামা এবং স্লিপার। হঠাৎ বৃষ্টিতে উৎসবের সব আনন্দ অনেকটাই বিষাদে পরিণত হয়।
নদীবন্দরে ২ নম্বর সংকেত
ঝড়ো হওয়ার আশঙ্কায় দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দুই নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী কয়েকদিন ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
শনিবার রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, নোয়াখালী, বরিশাল এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে দুই নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে এক নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।